গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিচয়ে পটুয়াখালীর শহিদ মাঝি শতাধিক ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছেন। এছাড়া তার পরোক্ষ নেতৃত্বে শতাধিক ডাকাতি হয়েছে। যেখানেই ডাকাতি হতো শহীদ সব সময় 30% ভাগ পেতেন।
১০ বছর ধরে আত্মগোপনে থাকা ডিবির পরিচয়ে ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী শহিদ মাঝিকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে এসেছে অনেক অজানা তথ্য।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (গুলশান বিভাগ) রিফাত রহমান শামীম সময় নিউজকে বলেন, শহীদ মাঝি ও তার দলের কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন তথ্য বেরিয়ে আসে।
শহীদ মাঝির অপরাধে হাতেনাতে ধরা পড়ে ফারুক মলিয়া নামে এক ব্যক্তি। এরপর মামুন নামে আরেক ব্যক্তির নেতৃত্বে চুরি, ছিনতাই, ছিনতাইয়ের ঘটনা চলতে থাকে। কিন্তু সবাই একের পর এক প্রজ্ঞার কাছে নতি স্বীকার করে রিফাত রহমান বলেন, খুব অল্প সময়েই নেতৃত্ব এসেছে শহীদদের হাতে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মাঝির চুরি, ডাকাতি, ডাকাতির বিভিন্ন পরিকল্পনা ছিল। তার মাথায় প্রথম যে বিষয়টি আসে তা হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষ করে গোয়েন্দারা ডাকাতির আড়ালে ছিনতাই, ছিনতাই হতে পারে। আর এভাবেই দল তৈরি হয়।
এক সময় রাজধানীসহ দেশের যেকোনো স্থানে ডিবির নামে ডাকাতি হলেই শহীদ মাঝির নাম আসত। তার বিরুদ্ধে শুরু হয় একের পর এক মামলা। গ্রেফতার, জামিন এভাবে কেটেছে কয়েক বছর। কিছুক্ষণের জন্য আত্মগোপনে চলে যান শাহিদ।
রিফাত রহমান আরও বলেন, সম্প্রতি রাজধানীর একটি ডাকাতির ঘটনায় শহিদ মাঝিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। তার ছিনতাইয়ের সহজ স্বীকারোক্তি, চুরি করা টাকার ৩০% তার জন্য নির্ধারিত থাকত। মাঝি শতাধিক ডাকাতির সরাসরি নেতৃত্বের কথা স্বীকার করেছে। জানালেন অনেক অজানা তথ্য। শনাক্ত হয়েছে বেশ কিছু চক্র। তাদের দলের বিভিন্ন ব্যক্তি এই কাজের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিতেন। মূলত তারা ডাকাতির জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করেছিল। হোক সেটা ব্যাংক, ডেভেলপমেন্ট এজেন্ট অফিস বা মানি এক্সচেঞ্জ।
দুইবার বিয়ে করলেও কোনো স্ত্রীর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই শহীদ মাঝির। পুলিশ জানিয়েছে, ছেলে-মেয়েরা তার পরিচয় দেয়নি।
0 coment rios: