বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩

সবজি চড়া, বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু-মুরগি - স্বপ্ন বার্তা

সবজি চড়া, বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু-মুরগি - স্বপ্ন বার্তা

 

ঢাকা: সাপ্তাহিক বাজারে বেড়েছে সবজির দাম। আগের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগির মাংস।


এছাড়া অন্য সব পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর মার্কেটে গিয়ে এসব চিত্র দেখা যায়।


ছুটির দিনে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। লম্বা ও গোলাকার এক কেজি বেগুনের দাম ৮০ টাকা। প্রতি কেজি টমেটো ৪০ টাকা। এ ছাড়া শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ধেন্দাস ১০০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা ও ধুঁক ১২০ টাকা। প্রতি কেজি 50-60।


বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে 100 টাকায়।


এছাড়া আকার ভেদে লাউ ৫০-৬০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলা বর্তমানে ৪০ টাকা। লেবুর শরবত বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।


সবজি বিক্রেতা আমিন জানান, কিছু সবজির দাম বেড়েছে। অন্য সবজির দাম খুব একটা বাড়েনি। তবে রোজার আগেই সবজির দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আজকের বাজারে মুরগির মাংস বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি 250 থেকে 260 টাকা কেজি। যা গত সপ্তাহে ছিল 250 টাকা। গোল্ডেন চিকেন 350 টাকা প্রতি কেজি। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে 280 টাকা থেকে 290 টাকা কেজিতে।


মুরগি বিক্রেতা। রুবেল বলেন, আমি কখনো ব্রয়লার মুরগি আড়াইশ টাকা কেজি দরে বিক্রি করিনি। দাম বাড়ার পেছনে প্রধান কারণ সিন্ডিকেট। রোজার সিন্ডিকেটের কারণে তা আবার বাড়তে পারে।


বাজারে গরুর মাংস বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি গরুর মাংসের দাম ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা। বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকায়।


মাংস বিক্রেতা। মাহাতাব বলেন, গরুর মাংসের দাম একটু কম। অন্য সব বাজারে বিক্রেতারা সুযোগ পেলে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা রাখছেন। কিন্তু এ বাজারে মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭২০ টাকায়।


তিনি আরও বলেন, দাম বেশি হওয়ায় মানুষ মাংস কিনতে পারছে না। রোজার সময় দাম একটু বাড়তে পারে। গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ টাকা।


এ বাজারে আগের দামেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। বড় রসুন 130-140 টাকা প্রতি কেজি। ছোট রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।


এছাড়া আদা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, চায়না আদা ২২০ টাকা, আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, খোলা চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


বাজারে খোলা আটা ৬০ টাকা কেজি ও প্যাকেট আটা ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে যা ছিল ৭০ টাকা। দুই কেজি আটার প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।


বর্তমানে বাজারে সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১৮৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লবণ প্রতি কেজি ৩৮-৪০ টাকা।


এক ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। হাঁসের ডিম ১৮০-১৯০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ১৯০-২০০ টাকা।


ডিম বিক্রেতা শুভ জানান, খামারের মুরগির ডিমের দাম কমেছে। এক ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। আশপাশের দোকানের তুলনায় একটু বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। রোজার সময় ডিমের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: