সাতক্ষীরার সহকারী বন সংরক্ষক ও বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন অফিসারকে পিটিয়ে মধ্যযুগীয় বর্বরতা।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন দোবেকি, পুষ্পকাটি, নোটবেকি এবং হলদেবুনিয়া বন টহলের অধীনে বেশ কয়েকটি খাল রয়েছে। যাকে সরকারিভাবে অভয়ারণ্য (নিষিদ্ধ) এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। খালে মাছ ও কাঁকড়া প্রজনন করে। সাতক্ষীরা রেঞ্জের ৪টি স্টেশন যেমন বুড়িগোয়ালিনী, কপোতাক্ষ, কদমতলা এবং কাইখালী স্টেশন থেকে ইস্যু করা সমস্ত পারমিট স্টেশন থেকে স্ট্যাম্প করা হয়। এতে ৪৯, ৫১এ, ৫১বি, ৫২, ৫৩, ৫৪, এবং ৫৫ নম্বর বগির সীলমোহর রয়েছে। ১৩০ গ্রামের নিচে স্ত্রী কাঁকড়া, ২০০ গ্রামের নিচে পুরুষ কাঁকড়া নিষিদ্ধ, অভয়ারণ্য এলাকায় গাছ কাটা, মাছ ধরা নিষিদ্ধ। জামিনযোগ্য অপরাধ, এটি ছাড়াও, কাঁকড়া মাছ ধরা নিষিদ্ধ। কিন্তু বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনে কতিপয় দালালের মাধ্যমে তারা বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন অফিসার নুরুল আলমকে নিষিদ্ধ এলাকায় মাছ ও কাঁকড়া কাটার অনুমতিপত্রসহ চুক্তিবদ্ধ টাকা দেয়। সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা, বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের কর্মী নুরুল আলমের নির্দেশে সব সুন্দরবন ধ্বংস করা হয়।
কর্মকাণ্ড করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চুক্তিবদ্ধ জেলেদের সীমাবদ্ধ এলাকায় পাঠিয়ে স্মার্ট টহল দলের সদস্যরা তাদের গ্রেফতার করে। ১৪ চুক্তিবদ্ধ জেলেকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনে আনা হয়েছে। এরপর সাতক্ষীরা তাকে গরুর দড়ি দিয়ে বেঁধে আদালতে পাঠায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই ছবি ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। সেই সাধারণ মানুষ
মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সচেতন মহল বলছেন, বন বিভাগের সদস্যরা মধ্যযুগীয় বর্বরতার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। লাইসেন্সধারী জেলেদের বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য বন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।


0 coment rios: