পাপুয়া নিউগিনিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬.২। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটিতে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর বরাত দিয়ে রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) অনুসারে, শনিবার পাপুয়া নিউ গিনির কান্দ্রিয়ানে রিখটার স্কেলে 6.2 মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। পাপুয়া নিউ গিনি ওশেনিয়ার একটি দেশ।
শনিবার স্থানীয় সময় রাত 9:24 মিনিটে পাপুয়া নিউ গিনির কান্দ্রিয়ানে ভূমিকম্প আঘাত হানে। ইউএসজিএস অনুসারে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ৩৮.২ কিলোমিটার।
এ ঘটনায় এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আরো বিস্তারিত অপেক্ষায়.
এদিকে, শনিবার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপ হোক্কাইডোতে। শনিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ২৭ মিনিটে হোক্কাইডো দ্বীপের পূর্বাঞ্চল রিখটার স্কেলে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। তবে এই ভূমিকম্পের পর কোনো সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়নি।
জাপানের ন্যাশনাল জিওলজিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি, এনআইইডি জানিয়েছে, নেমুরো উপদ্বীপের ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬১ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে। ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো তাৎক্ষণিক খবর পাওয়া যায়নি।
এছাড়া একই দিনে তুরস্কে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দেশটির কেন্দ্রীয় আনাতোলিয়া প্রদেশের নিগদে শহর শনিবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ ভূমিকম্প থেকে সেরে ওঠেনি।
ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (EMSC) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি মধ্য তুরস্কে আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার নিচে। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে মিয়ানমারের আয়াওয়াতি ও রাখাইন রাজ্যেও এক জোড়া ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। বাংলাদেশের কক্সবাজারেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর আগে, 16 ফেব্রুয়ারি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ে একটি মাঝারি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট জেলাতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়া। এখন পর্যন্ত 50,000 জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। শুধু তুরস্কেই প্রাণ হারিয়েছে ৪৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক।


0 coment rios: