খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (খুমেক) থেকে ২৩ দিন আগে চুরি হওয়া এক নবজাতককে (ছেলে) নড়াইলের কালিয়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় নবজাতক কিনেছেন এক নিঃসন্তান দম্পতি।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ও র্যাব পাঁচজনকে আটক করেছে। তবে শিশুটি চুরি করা নারীকে আটক করা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের পার-বিষ্ণপুর গ্রামের রাশেদ মোল্লার বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। শিশুটি ঢাকা থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় কিনেছেন বলে জানান তারা।
উদ্ধার হওয়া নবজাতকের বাড়ি বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার পিলজংয়ের তোরাব আলী ও রানী বেগমের। শিশুটিকে বর্তমানে খুমেকের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) তার পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য রাখা হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, ২৪ জানুয়ারি সকালে ফকিরহাট থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে রানীমাকে হাসপাতালে আনা হয়। ওইদিন বিকেলে রানিমা একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ছাড়পত্র দেয়।
এরপর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে গাড়ি ভাড়া নিয়ে চালকের সঙ্গে নবজাতকের বাবা তোরাব আলীর বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে চালক গাড়ির চাবি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। আরও কয়েকজন চালকও তাকে ধাক্কা দেয়। চালকদের সঙ্গে এক নারীও ছিলেন।
এ সময় নবজাতকটি তার অপর বোন সোনিয়া বেগমের কোলে ছিল। নিহতের পরিবার জানায়, তর্কাতর্কির একপর্যায়ে চালকের সঙ্গে থাকা নারী তার নবজাতক শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে সোনাডাঙ্গা থানার এসআই তোফায়েল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গত ২৪ জানুয়ারি বিকেলে খুমেক হাসপাতাল থেকে নবজাতকটি চুরি হয়। এ ঘটনায় গত ২৫ জানুয়ারি নবজাতকের মা বেলায়েত হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালিয়া থেকে নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ছয় আসামির মধ্যে পাঁচজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।


0 coment rios: