বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৩

‘ফারাজ’ মুক্তি না দেওয়ার দাবি অবিন্তার মায়ের - স্বপ্ন বার্তা

 

‘ফারাজ’ মুক্তি না দেওয়ার দাবি অবিন্তার মায়ের - স্বপ্ন বার্তা

রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে ২০১৬ সালের ১ জুলাই জঙ্গি হামলার ঘটনায় নির্মিত হয়েছে বলিউড সিনেমা ‘ফারাজ’। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে ভারতে। তবে এটি মুক্তিতে আপত্তি জানিয়েছেন ওই ঘটনায় নিহত অবিন্তা কবিরের মা রুবা আহমেদ।


আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শাহজাদপুরে অবিন্তা কবির ফাউন্ডশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আপত্তির কথা জানান তিনি।


এ সময় মা রুবা আহমেদ বলেন, ‘এই ছবিটি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে। ছবির নির্মাতা এই ঘটনায় নিহত পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। কোনো সহমর্মিতাও প্রকাশ করেনি। আমার দেশে যখন এটা আসবে প্লিজ ওটিটিতে এটা প্রকাশ হতে দিয়েন না। দেশের মানুষের দরকার নেই এটা দেখার।’


তিনি আরও বলেন, ‘এটা দেখা কোনো মায়ের পক্ষে সম্ভব না। আমি মা, আমার মেয়েকে আমি হারিয়েছি। মেয়ের জীবন কীভাবে চলে গেছে, সেটা বড় পর্দায় দেখাবে আর অন্যরা উপভোগ করবে- এটা একজন মায়ের কতটা কষ্ট লাগবে তা বলে বোঝানো যাবে না।’

‘ফারাজ’ মুক্তির বিষয়ে রুবা আহমেদ বলেন, ‘এই ছবিটা আরও ছয় মাস আগেই মুক্তি পেত। কিন্তু সেটা আমি আটকে রেখেছিলাম। এই মুভি বন্ধের জন্য আমি নির্মাতাদের কাছে উকিল নোটিশও পাঠিয়েছিলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ছবিতে আমার মেয়ের জন্য আরেকজন জীবন দিয়েছে, সে হিরো। নো, দ্যাটস রং। আমি এটা বিশ্বাস করি না। কারণ, এটার কোনো প্রমাণ নাই। ওখান থেকে সেদিন যারা বেঁচে এসেছে, তারা কেউ কিচ্ছু জানে না ও বলতে পারে না। যদি একজন হিরো হয়, তাহলে ২২টা মানুষ যে চলে গেছে তারা কী?’

জানা গেছে, ‘ফারাজ’ সিনেমাটি নিয়ে অবিন্তা কবিরের পরিবারের আপত্তি আছে। সিনেমাটিতে অবিন্তা কবির ও তার পরিবারের সদস্যদের চরিত্র উপস্থাপন করা হবে। এ নিয়ে অবিন্তার পরিবারের সদস্যরা বিব্রত।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ইমোরি ইউনিভার্সিটির অক্সফোর্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন বাঙালি তরুণী অবিন্তা কবির। ২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকায় ফেরার তিনদিন পর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত হন তিনি। তার স্মৃতি ধরে রাখতে ২০১৭ সালের ৪ মার্চ প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘অবিন্তা কবির ফাউন্ডেশন’।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: